প্রকাশিত: Sun, Jan 22, 2023 6:00 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 2:11 PM

জনপ্রিয় হচ্ছে বাড়তি পুষ্টিসমৃদ্ধ রঙিন ফুলকপি

সালেহ্ বিপ্লব: কৃষি তথ্য সার্ভিস জানায়, অতিরিক্ত পরিমাণে বেটা ক্যারোটিনের উপস্থিতির কারণে ফুলকপি কমলা রঙের হয়। এই রঙের সবজিতে অন্য রঙের সবজির তুলনায় পঁচিশ গুণ বেশি ভিটামিন এ থাকে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্থোসিয়ানিন্সের উপস্থিতির কারণে ফুলকপির রঙ বেগুনি হয়। এতো গুণমানে ভরপুর রঙিন ফুলকপির প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি, বিক্রিও হয় বেশি দামে। 

দেশে হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ফুলকপির চাষাবাদ শুরু হয় ২০২১ সালে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রথমবার নন-ক্রিপার জাতীয় সবজি চাষ প্রদর্শনী মাঠে উন্নত জাত ও পরিবেশবান্ধব কৌশল ব্যবহার করে রঙিন ফুলকপি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন কৃষক শফিকুল। 

বাসস জানায়, উপজেলার বনাগাঁও পূর্বপাড়ার শফিকুল ইসলাম সারা বছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। এবারই প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি করেছেন। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে লাভবান হয়েছেন। 

শফিকুল ইসলাম জানান, ১৫ শতাংশ জমিতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রঙিন ফুলকপি। বর্তমানে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তার আশা, বাগান থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙিন ফুলকপি।

উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ শুরুর পর ব্যাপক সাড়া পড়েছে আশাপাশের সব গ্রামে। শফিকুল বলেন, মজার ব্যাপার হলো, রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।

এলাকার কৃষক জামিল মিয়া বলেন, এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমিও আমার জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তাই রঙিন ফুলকপি চাষ শুরুর জন্যে আমরা তাকে নির্বাচন করি। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে আছে। আমাদের মাঠকর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ